অপরাধ

কোতোয়ালী থানার নওমহলে নৃশংস হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটন, হত্যাকারী গ্রেফতার

কোতোয়ালী থানার নওমহলে নৃশংস হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটন, হত্যাকারী গ্রেফতার

প্রকাশিত : ৭ ডিসেম্বর ২০২৪, সন্ধ্যা ৮:৫৮

ময়মনসিংহ শহরের কোতোয়ালী থানার নওমহল এলাকায় গত ৬ ডিসেম্বর একটি নির্মাণাধীন ভবনে নির্মাণ শ্রমিকের মৃতদেহ পাওয়া যায়। মৃতদেহটি পাওয়া যায় ভবনের ৩য় তলায়, যেখানে ২৪ বছর বয়সী ফোরম্যান রমজান আলীর (পিতা-মোঃ রশিদুল ইসলাম) মৃতদেহ অত্যন্ত নৃশংসভাবে আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায় ছিল। তার মাথায় ভারী বস্তু দ্বারা উপর্যুপরি আঘাতে মুখমন্ডল এবং মস্তকের ডান অংশ পুরোপুরি বিকৃত হয়ে যায়, যা ঘটনাটিকে অত্যন্ত ভয়াবহ করে তোলে।

ঘটনাটি পুলিশে জানানো হলে কোতোয়ালী থানার পুলিশ কর্মকর্তা, জেলা গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তাসহ পুলিশ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্ত মোবাইল ফোন এবং সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে পুলিশ নির্মাণাধীন ভবনের রডমিস্ত্রি মোঃ আমিনুর ইসলামকে সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত করে। 

প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, আমিনুর তার শশুর ও চাচা শশুরকে সাথে নিয়ে গত অক্টোবর মাসে রংপুর থেকে ময়মনসিংহে এসে ওই ভবনে কাজ শুরু করেন। প্রথমদিকে তারা নিয়মিত পারিশ্রমিক পেলেও পরে দেড় মাস ধরে তারা কোন পারিশ্রমিক পাচ্ছিলেন না। একপর্যায়ে আমিনুরের শশুর এবং চাচা শশুর পারিশ্রমিক না নিয়েই বাড়ি ফিরে যান, যার ফলে আমিনুরের সম্মানহানি হয়। 

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রমজান আলীর সাথে তার তীব্র বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে আমিনুর উত্তেজিত হয়ে ভারী লোহার রড দিয়ে রমজানের মাথায় স্বজোরে আঘাত করে। রমজানের মৃত্যু নিশ্চিত করার পর আমিনুর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় এবং ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী অঞ্চলে গা ঢাকা দেয়। 

পুলিশের সাড়াশি অভিযানে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় নরসিংদী জেলার সদর থানাধীন শাহপ্রতাপ মোড় থেকে আমিনুর ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে রক্তমাখা লোহার রড উদ্ধার করা হয়, যা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছিল। 

এখন আমিনুর ইসলামকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে এবং এ হত্যাকাণ্ডের পেছনের রহস্য আরও গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।