ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার জামগড়া রূপায়ণ এলাকা থেকে কুখ্যাত কিশোর গ্যাং ‘ইয়ার হোসেন গ্যাং’-এর ৮ জন সদস্যকে আটক করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এ গ্যাং দীর্ঘদিন ধরে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, গার্মেন্টস শ্রমিকদের ওপর হামলা এবং মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত।
গত ৪ ডিসেম্বর গ্যাংটি চাঁদা না দেওয়ার কারণে জামগড়া রূপায়ণ এলাকার নেট ও ডিস লাইন ব্যবসার ক্যাবল কেটে ফেলে।
অভিযোগে জানা যায়, ডিস লাইনের মালিক রবিন ও আলামিনের কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে ইয়ার হোসেন গ্যাং। তারা হুমকি দেয়, চাঁদা না দিলে ব্যবসা পরিচালনা করতে দেবে না। মালিকপক্ষ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গ্যাংয়ের প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন সদস্য হামলা চালিয়ে প্রায় ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকার ডিস ও নেটের ফাইবার ক্যাবল কেটে ফেলে।
ঘটনার ভিত্তিতে আশুলিয়া থানার একাধিক চৌকশ দল অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে গত ৬ ডিসেম্বর অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে গ্যাংয়ের ৮ সদস্যকে আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে মো. সোহাগ আলী (২২), মো. সাকিব ওরফে বাবু ওরফে সুজন (১৯), মো. সবুজ (২০), মো. শাহিন (২৫), মো. মমিন হোসেন (১৯), শামীম হোসেন (২৪), আরিফুল ইসলাম (২৭), এবং সুজন মিয়া (২২)।
আটকের সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র এবং মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তবে গ্যাংয়ের লিডার ইয়ার হোসেনকে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। তাকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ জানিয়েছে, ইয়ার হোসেন গ্যাং এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। গ্যাংয়ের বাকি সদস্যদেরও দ্রুত গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মতামত