সারাদেশ

ধামাইচ খেয়াঘাটে সেতু না থাকায় তিন প্রজন্মের দুর্ভোগ

ধামাইচ খেয়াঘাটে সেতু না থাকায় তিন প্রজন্মের দুর্ভোগ

ছবি : ধামাইজ বাজার খেয়াঘাট গুমানী নদী


প্রকাশিত : ৭ ডিসেম্বর ২০২৪, দুপুর ২:০৬ আপডেট : ৭ ডিসেম্বর ২০২৪, সন্ধ্যা ৮:২৮

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ধামাইচ বাজার খেয়াঘাটে গুমানী নদীর ওপর সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। তিন প্রজন্ম ধরে এই অঞ্চলের মানুষ বাঁশের সাঁকো বা নৌকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে পারাপার করছে। বিশেষত বর্ষা মৌসুমে নৌকা এবং শুষ্ক মৌসুমে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোই তাদের একমাত্র ভরসা।

তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের ধামাইচ বাজার থেকে হেমনগর পর্যন্ত একটি সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। স্থানীয়রা জানান, তিনটি প্রজন্ম ধরে জনপ্রতিনিধিরা এ সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিয়েছেন। তবে প্রতিশ্রুতি পূরণের কোনো উদ্যোগ কেউ নেননি।

ধামাইচ বাজার খেয়াঘাট এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিশাল বাঁশের সাঁকো দিয়ে মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে। পণ্য পরিবহন বা যানবাহন চলাচলের কোনো সুযোগ নেই। বর্ষায় নদীতে নৌকা ব্যবহার করতে হয়, যা যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ এবং কষ্টকর।

নদীর দুই পারের পাকা সড়ক থাকলেও সেতু না থাকায় কৃষিপণ্য পরিবহনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনা-নেওয়ায় ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া, এলাকার সবুজপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, ধামাইচ বিলচলন উচ্চ বিদ্যালয়, এবং নওখাদা ফোরকানিয়া মাদ্রাসাসহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। বিশেষ করে বর্ষার সময় বিদ্যালয়ে পৌঁছানো খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।

২০০১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। 

স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সবাই কথা দিয়েছে, কিন্তু কেউ কথা রাখেনি। আমাদের দুর্ভোগ দেখার যেন কেউ নেই।

তাড়াশ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) কর্মকর্তা মো. ফজলুল হক জানান, গুমানী নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য নকশা প্রস্তুত হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। তবে এখনো এ বিষয়ে কোনো প্রস্তাবনা সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়নি। 

তিনি বলেন, জনস্বার্থে সেতু নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দ্রুত অবহিত করা হবে।

স্থানীয় সচেতন মহলের মতে, একটি সেতু নির্মাণ হলে এলাকার যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত হবে এবং কৃষিপণ্য পরিবহনসহ শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সহজ হবে। তবে প্রতিশ্রুতির বৃত্ত থেকে সেতু নির্মাণের বাস্তবায়নে কতটা অগ্রগতি হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েই গেছে।