ছবি : বদলে গেছে সালথা নির্বাচন অফিসের চিত্র, ঘুষ হয়রানি ছাড়াই মিলছে এনআইডি সেবা
ফরিদপুরের সালথা উপজেলা নির্বাচন অফিসে এক সময় ঘুষের মাধ্যমে সেবা পাওয়া ছিল সাধারণ ঘটনা। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন, ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি কিংবা হস্তান্তরের মতো কার্যক্রমের জন্য ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হতো। এ নিয়ে অসংখ্য অভিযোগ এবং একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর, অফিসের তৎকালীন নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল রশিদকে বদলি করা হয়।
এরপর, চলতি বছরের ১৮ মার্চ মো. ইমরানুর রহমান নতুন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি ঘুষবাণিজ্য বন্ধ করে, হয়রানিমুক্ত সেবা নিশ্চিত করেছেন। তার উদ্যোগে অফিসের কার্যক্রমে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন।
নতুন ভোটার হওয়া রাব্বী হুসাইন বলেন, মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই আমার আইডি কার্ড পেয়েছি। কোনো টাকা-পয়সা লাগেনি এবং অফিসার নিজেই কাজটি করেছেন। তার ব্যবহারে আমি অত্যন্ত খুশি।
আসমা বেগম, যিনি পূর্বে হয়রানির শিকার হয়েছিলেন, বলেন, এখন আর কেউ টাকা চায় না। অফিসের সবাই সহযোগিতা করছে, এবং নির্বাচন অফিসারও আন্তরিকভাবে কাজ করছেন।
ইমরানুর রহমান জানান, মানুষের সেবা দেওয়াই আমার দায়িত্ব। অফিসে হয়রানি বা ঘুষ গ্রহণ একেবারেই বন্ধ করেছি। অফিসের সামনে অভিযোগ ও পরামর্শ বক্স বসিয়েছি, যেখানে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ জমা দিতে পারেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া, অফিসে সতর্কীকরণ ব্যানার টাঙানো হয়েছে, যাতে কেউ দালাল বা ঘুষগ্রহণকারীদের খপ্পরে না পড়েন।
সালথা নির্বাচন অফিস এখন ঘুষমুক্ত ও হয়রানিমুক্ত সেবার উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় জনগণ নির্বাচন অফিসের এই ইতিবাচক পরিবর্তনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
মতামত