বাংলাদেশের এটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেছেন, গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধে জড়িত ব্যক্তি সাংবাদিক হোক বা অন্য কেউ, আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, সাংবাদিকদের হাত লম্বা, কিন্তু আইনের হাত আরও লম্বা এবং রাষ্ট্রের হাত সবচেয়ে লম্বা।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
এটর্নি জেনারেল বলেন, একটি বিশেষ গোষ্ঠী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করছে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, শহীদ এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের আত্মত্যাগ জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। তিনি বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবে।
মিথ্যা মামলা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, নানা অজুহাতে মিথ্যা মামলা হচ্ছে, এটা অস্বীকার করা যায় না। তবে ফ্যাসিবাদী সরকারের মতো এই সরকার মামলা করার সাথে সাথেই গ্রেপ্তার করছে না। বরং তদন্ত ও যাচাই-বাছাই শেষে প্রকৃত অপরাধীদের ধরা হচ্ছে।
চট্টগ্রামের এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা এবং সনাতনী জাগরণ মঞ্চের নেতা চিম্ময় ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে এটর্নি জেনারেল বলেন, তারা বড় ধরনের ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন। অভিযোগ গুরুতর, তাই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মতবিনিময়ের আগে এটর্নি জেনারেল ও সিনিয়র আইনজীবীরা চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় গিয়ে শহীদ এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জেয়ারত করেন।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তর্বর্তী কমিটির আহ্বায়ক জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতা ও বিভিন্ন পেশাজীবী নেতারা অংশ নেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, এবং আরও অনেকে।
মতামত