ছবি : পৌর শহরের খাঁনপাড়া মহল্লার কবুতরপ্রেমী শাকিল আহমেদ
কবুতর হলো শান্তির প্রতীক। রাজা-বাদশারা আগের যুগে রাজপ্রাসাদে কবুতর পালন করতেন রাজ দরবারের বার্তা পাঠানোর জন্য। কবুতরের পায়ে বার্তা বেঁধে বাহকের কাছে পাঠানো হতো।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌর শহরের খাঁনপাড়া মহল্লার কবুতরপ্রেমী শাকিল আহমেদ শখ করে বাসায় বিভিন্ন জাতের কবুতর লালন-পালন শুরু করেন। আর এতে তিনি এখন স্বাবলম্বী।
প্রান্তিক কৃষক মৃত আছালত আলীর ২ ছেলের মধ্যে ছোট ছেলে শাকিল আহমেদ জানান, ছোটবেলায় দেখতাম বাবা বাসায় গরু ছাগল হাঁস-মুরগি পালন করতেন। কিন্তু বছর তিনেক আগে বাবা মারা যাওয়ায় বাড়ি থাকা গরু ছাগল হাঁস-মুরগি সব কিছু বিক্রি করে বাজার থেকে কয়েক জাতের কবুতর এনে ছোট্ট একটি ফার্ম তৈরি করি । শখ করে ১০ জোড়া কবুতর দিয়ে ফার্ম চালু করলেও বর্তমান কবুতর সংখ্যা প্রায় ২৫০টি।
তিনি বলেন, ফার্মে এখন বাংলা গিরিবাজ রেসার সিরাজী, ঘিয়াচুন্নী, মোশালদমসহ বিভিন্ন প্রকারের কবুতর রয়েছে। প্রতিদিন দুবার কবুতরগুলো ১২ থেকে ১৫ কেজি পরিমাণ ধান চাল ভুট্টা গম অথবা সরিষা খায়। মাসে ২০-৩০ হাজার টাকার কবুতর বিক্রয় করি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো আমিনুল হক জানান, কবুতর পালন শখের বিষয় হলেও কিন্তু লাভজনক।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণীরা চাকরির আশায় বসে না থেকে ছোট-বড় ফার্ম করে বিভিন্ন পশু লালন-পালন করা উচিৎ। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করা হয় বলেও জানান তিনি।
মতামত