ছবি : পৌর শহরের খাঁনপাড়া চলাচলের জন্য বাঁশের সাঁকোই
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌর শহরের খাঁনপাড়া চলাচলের জন্য বর্ষা মৌসুমে নৌকা ও শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকোই এলাকাবাসীর ভরসা। অন্য কোনো ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে এই সাঁকো দিয়ে চলাচলে বাধ্য হচ্ছেন মানুষ।
এবং খাঁনপাড়া এলাকায় জলাবদ্ধতা যেন নিত্যসঙ্গী। উন্নয়নের ছোঁয়া না পাওয়া এ পারা নির্মিত হয়নি প্রয়োজনীয় রাস্তা, কালভার্ট। অবহেলিত তাড়াশ খাঁনপাড়া এলাকার প্রায় ২০টি পরিবারের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র উপায় বাঁশের সাঁকো। দীর্ঘদিন ধরে তারা পণ্য পরিবহনসহ চলাচলের জন্য ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন।
জানা গেছে, পৌর শহরের সকল রাস্তা ঘাট থাকলেও এ রাস্তা এখনো করা হচ্ছে না কেনো দাবী এলাকাবাসীর।
বন্যা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে বছরের বেশি সময় ধরে এই খাঁনপাড়া পুকুরের মধ্যে দিয়ে চলাচল করতে হয়। তখন নিত্যপ্রয়োজনে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা হয় নৌকা। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমের শুরুতে পুকুরের পানি কমতে থাকায় যানবাহন চলাচলের উপযোগী সরাসরি কোনো রাস্তা না থাকায় খাঁনপাড়া মানুষকে এই বাঁশের সাঁকো দিয়েই চলাচল করতে হয়। আর বর্ষা এলেই স্কুল ও মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ যেন কয়েকগুণ বেড়ে যায়। বয়স্ক ও অসুস্থ রোগীদের নিয়ে সাঁকো পার হওয়া বাড়িয়ে দেয় শারীরিক ধকল।
এ ব্যাপারে পৌর শহরের খাঁনপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা মনি, শাকিল, রাজিব, শরিফুল ইসলাম, জসিম উদ্দন, মোজাহার হোসেনসহ অনেকেই বলেন, এখানে রাস্তা না থাকায় প্রায় সারা বছরই কষ্ট করে পারাপার হতে হয়। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাগামী ছেলেমেয়েদের নিয়ে আমাদের আতঙ্কে থাকতে হয়।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক মো খালিদ হাসান জানান, প্রাকৃতিক সমস্যার কারণে ও পুকুরের মধ্যে রাস্তা না থাকায় চলাচলের ভোগান্তি হয়েছে । সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটি রাস্তা নির্মাণের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
মতামত