ছবি : নওগাঁ নবিপুর গ্রামের ফুলকপি চাষ হচ্ছে
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শীতকালীন সবজি ফুলকপি চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় তাদের মুখে এখন হাসির ঝিলিক।
সবজির এলাকা বলে পরিচিত উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের নবিপুর গ্রাম। ওই গিয়ে দেখা যায় মাঠভরা ফুলকপির আবাদ।
ব্যবসায়ীরা সেখান থেকে কিনে ট্রাকযোগে নিয়ে যাচ্ছেন ঢাকাসহ বিভিন্ন বাজারে।
ওই গ্রামের কৃষক আমজাদ হোসেন (৪০) বলেন, দেড় বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে দাম বেশি থাকায় লাভও হচ্ছে।
এরই মধ্যে এক বিঘা জমির ফুল কপি ৬৮ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন তিনি। আরও আধা বিঘার ক্ষেত আছে। প্রতিবিঘায় খরচ হয়েছে ১৮ হাজার টাকা। ক্ষেত থেকে প্রতিটি কপি ২০ থেকে ২২টাকা দরে বিক্রি করেছেন।
একই গ্রামের কৃষক ফরিদুল ইসলাম (৩৫) বলেন, ‘ধানের চেয়ে সবজিতে লাভ বেশী। আমার এক বিঘায় কপি চাষে খরচ ১৬ হাজার টাকা। আধা বিঘা জমির ফুলকপি বিক্রি করেছি ৩০ হাজার টাকায়।
তিনি জানান, আগে এ এলাকার মানুষের অভাব অনটন লেগে থাকতো। এখন সবজি চাষ করে সবাই স্বাবলম্বী হয়েছেন।
ওই সবজির মধ্যে ফুলকপিতে লাভ বেশি। লাগানোর আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে বাজারজাত করা যায়।
অপর কৃষক আকবার আলী (৪৫) বলেন, আমি দেড় বিঘা জমিতে ফুলকপির চাষ করেছি, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ৬০ হাজার টাকার কপি বিক্রি করেছি, আরও ৫০ হাজার টাকার কপি বিক্রি হবে। তিনি এবার কপি বিক্রি করে ৩০ হাজার টাকায় একটি গরু কিনেছেন বলেও জানান।
ব্যবসায়ী মো. আশরাফ আলী বলেন, কৃষকদের ক্ষেত থেকে কিনে নিয়ে ট্রাকে আমরা ঢাকার কারওয়ানবাজার ও যাত্রাবাড়ির সবজি বাজারে নিয়ে যাচ্ছি। প্রতিটি ট্রাকে ছয় হাজার ফুল কপি নেওয়া যায়। ১৫ দিন ধরে ওই গ্রাম থেকে কপি সংগ্রহ করে বাজারে নিচ্ছি।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আগে এ এলাকার মানুষের অভাব অনটন ছিল। এখন সবজি চাষ করে তারা লাভবান হচ্ছেন, তাদের স্বচ্ছলতাও হচ্ছে। এবং এ বছর বাজারে সবজির দাম থাকায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।
মতামত