চট্টগ্রামের আদালতপাড়ায় সংঘর্ষ চলাকালে শিক্ষানবিশ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় জিয়া মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটক ও শেখপাড়া বাজার হয়ে পুনরায় প্রধান ফটকে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
বিক্ষোভে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। এ সময় তারা “ইসকনের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও”, “উগ্রবাদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না”, “ফাঁসি চাই, ইসকনের ফাঁসি চাই” প্রভৃতি স্লোগান দেন।
মিছিল-পরবর্তী সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, চট্টগ্রামের আদালতপাড়ায় সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ডে তারা গভীরভাবে শোকাহত এবং ক্ষুব্ধ।
তারা এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ইসকনের সদস্যদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় ছাত্রসমাজ আবারও রাস্তায় নামবে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ভারতীয় সংগঠন ইসকন বাংলাদেশের সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টায় লিপ্ত। তারা পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। তবে ২৪-এর ছাত্রসমাজ এসব ষড়যন্ত্রকে সফল হতে দেবে না।
তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। এখানে হিন্দু-মুসলমানসহ সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বসবাস করে। কিন্তু ইসকনের মতো উগ্রবাদী সংগঠনের কোনো স্থান এ দেশে নেই।
সমাবেশে বক্তারা ইসকনের বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, জমি দখল এবং মন্দির দখলের অভিযোগ তুলে ধরেন।
তারা বলেন, চিন্ময় কোনো ধর্মীয় নেতা হতে পারে না; সে একজন অপরাধী। তার অনুসারীদেরও কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
বিক্ষোভ শেষে শিক্ষার্থীরা দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করুন, যাতে এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে আর না ঘটে।
মতামত