সারাদেশ

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শিম চাষে কৃষকের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শিম চাষে কৃষকের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন

ছবি : মাঠের মাঝে মাচায় নীল-বেগুনি রঙের শিম


প্রকাশিত : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সন্ধ্যা ৮:৩৪ আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, রাত ৯:২৪

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় আগাম শিম চাষ করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। ভালো ফলন এবং বাজারে উচ্চমূল্য পাওয়ায় শিম চাষে আগ্রহ বাড়ছে তাদের। এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া শিম চাষের জন্য বেশ উপযোগী হওয়ায় কৃষকরা নিচু ধানের জমিতে নালা কেটে মাটি উঁচু করে শিম চাষ শুরু করেছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর শিম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০ হেক্টর জমি। তবে অনুকূল আবহাওয়ার কারণে শিম চাষ হয়েছে প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে। রূপভান ও ইফশা জাতের শিম এখানে বেশি চাষ হচ্ছে। সাধারণত বীজ রোপণের ৩৫-৪০ দিনের মধ্যে গাছে ফুল আসা শুরু করে।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) সরেজমিনে দেখা গেছে, মথুরাপুর, কাঁটাবাড়ি, নাদোসৈয়দপুর, নওগাঁসহ বিভিন্ন গ্রামে মাচায় ঝুলন্ত শিম ক্ষেতের নীল-বেগুনি রঙ শরতের আকাশের সাথে মিলিয়ে নয়নাভিরাম দৃশ্য তৈরি করেছে। শিম ক্ষেতের পরিচর্যায় কৃষকরা আগাছা পরিষ্কার ও পোকা-মাকড় প্রতিরোধে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

মথুরাপুর গ্রামের কৃষক শাহালম হোসেন জানান, ৪-৫ বছর ধরে আগাম শিম চাষ করছেন তিনি। এ বছরও বাজারে শিমের ভালো দাম পাচ্ছেন। প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা দরে। কাঁটাবাড়ি গ্রামের কৃষক মেহেদী, জাকারিয়া ও শাকিল আহমেদ জানান, পরের সপ্তাহে পুরোদমে শিম বাজারে আসবে বলে তারা আশাবাদী।

নওগাঁ গ্রামের আলামিন হোসেন বলেন, ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ করে ১ বিঘা জমিতে শিম চাষ করেছি। আশা করছি, এই জমি থেকে প্রায় ১ লাখ টাকার শিম বিক্রি করতে পারব।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শিম চাষে পানি জমে থাকলে শিকড়ে নেমাট আক্রমণ করে, ফলে গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে। এ সমস্যা সমাধানে ছত্রাকনাশক অথবা বোরিক এসিড মিশিয়ে স্প্রে করা হলে উপকার পাওয়া যায়।