সারাদেশ

তাড়াশে কুমড়ো বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত নারীরা

তাড়াশে কুমড়ো বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত নারীরা

ছবি : বাড়ির সামনে কুমড়োর বড়ি তৈরি করছেন নাজমা খাতুন ও রজিনা আক্তার


প্রকাশিত : ২৩ নভেম্বর ২০২৪, দুপুর ১২:১৮ আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৪, দুপুর ১:০৬

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় কুমড়ো বড়ি তৈরির চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। ভোজনপ্রেমীদের কাছে এ পণ্যটির রয়েছে আলাদা জনপ্রিয়তা। কুমড়ো বড়ি তৈরি ও বিক্রির মাধ্যমে তাড়াশের বেশ কয়েকটি পরিবার জীবিকা নির্বাহ করছে।

শীতকালকে কুমড়ো বড়ি তৈরির প্রধান মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। এ সময়ে শীতের সবজির সঙ্গে কুমড়ো বড়ির মিশ্রণ একটি জনপ্রিয় খাদ্য অভ্যাসে পরিণত হয়।

কুমড়ো বড়ি তৈরির প্রক্রিয়া ও ঐতিহ্য

তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ গ্রামে সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রায় ১৫-২০টি পরিবার কুমড়ো বড়ি তৈরির কাজ করছেন। নারীরা সকালের শীতল পরিবেশে চাল, কুমড়ো ও মাষকলাইয়ের মিশ্রণ মণ্ড তৈরি করেন। এরপর বাঁশের কাঠির তৈরি নেটে পাতলা কাপড়ের ওপর বড়ি বানানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

যদিও আধুনিক যুগে মেশিনের ব্যবহার বড়ির মণ্ড তৈরির কাজ সহজ করে দিয়েছে, তবে পুরো প্রক্রিয়া এখনো বেশ শ্রমসাধ্য। নারীদের আত্মনির্ভরশীলতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ এই কুমড়ো বড়ি শিল্প।

বাজারে চাহিদা ও দামের ওঠানামা

এ বছর কুমড়ো বড়ির চাহিদা আরও বেড়েছে। সাধারণ মানের কুমড়ো বড়ি প্রতি কেজি ২০০-২৫০ টাকা এবং ভালো মানের কুমড়ো বড়ি ৪৫০-৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, স্থানীয় চাহিদা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে এবং প্রবাসী স্বজনদের কাছেও এই বড়ি পাঠানো হচ্ছে।

চ্যালেঞ্জ ও সরকারি সহায়তার প্রয়োজন

বড়ি প্রস্তুতকারক নাজমা খাতুন বলেন, বংশপরায়ণভাবে আমরা কুমড়ো বড়ি তৈরি করে আসছি। আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে কাজ কিছুটা সহজ হয়েছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা পেলে আমরা বড় পরিসরে উৎপাদন করতে পারব।

তাড়াশ উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার রফীন্দ্রনাথ মাহাতো বলেন, কুমড়ো বড়ি তৈরির মাধ্যমে অনেক নারীর জীবনমান উন্নত হয়েছে। আমরা প্রশিক্ষণ এবং ঋণের ব্যবস্থা করে তাদের ব্যবসা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করব।

কুমড়ো বড়ি শুধু একটি খাদ্য পণ্য নয়; এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। সঠিক সহায়তা পেলে এটি রপ্তানি পণ্য হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।