ছবি : হামকুড়িয়া গ্রামের নারী-পুরুষ লাইনে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেছেন।
দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে এলাকাবাসীর চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সরকারি খাস জমিতে পুকুর খনন করায় চলাচল করতে পারছেন না ৯৬টি পরিবারের সদস্যরা।
উপজেলার মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নের হামকুড়িয়া খান পাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
আর এ প্রতিবাদে সকালে উপজেলার হামকুরিয়া গ্রামে প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা মো. মহরম আলী প্রামাণিকের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী ওই গ্রামের নারী-পুরুষ মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাব খাটিয়ে ভূমিহীন না হয়েও সরকারি খাস সম্পত্তি বন্দোবস্তর নিয়ে পুকুর খনন করেন। যে কারণে খানপাড়ার ৯৬টি পরিবার চলাচলের রাস্তা না পেয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী মো. তছলিম উদ্দিন, রাহাত আলী, ফরিদ হোসেন বলেন, গত ১৬ মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়ন আওয়ামীগের আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ মো. নজরুল মোল্লার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ নেতা মহরম আলী প্রমাণিক, তার স্ত্রী রুবিনা খাতুন এবং তার ছোট ভাই মো. আউয়াল হোসেন প্রামণিক ভূমি অফিসকে যোগসাজসে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১নং খাস খতিয়ান এর ভূমি ৬৯ শতাংশ জায়গা বন্দোবস্ত নেন। পরে ওই জায়গায় পুকুর খনন করেন তিনি। এ সময় পুকুর খননে বাধা দিলে মহরম আলী অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। এর আগে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার পাননি।
ভুক্তভোগী মোছা. আদরী খাতুন বলেন, তারা নিজ বাড়ি হতে বের হয়ে রাস্তায় উঠতে পারছেন না। অন্যের বাড়ির ভিতর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এ কারণে চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে তাদের জীবনযাত্রা অতিবাহিত হচ্ছে। অনতি বিলম্বে বন্দোবস্তকৃত দলিল বাতিল পূর্বক খাস জায়গা উদ্ধার করে জনগণের চলাচলের রাস্তা নির্মানের জন্য সরকার ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
দখলের বিষয় জানতে মহরম প্রামাণিকের স্ত্রী রবিনা খাতুন বলেন, আমরা ভূমিহীন। সরকারের নিকট থেকে বন্দোবস্ত নিয়ে ভোগ দখল করছি।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) খালিদ হাসান জানান, মাগুরাবিনোদ ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতিবেদনে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
মতামত