ফরিদপুরের সালথা উপজেলার কৃষক মুক্তার মোল্যা দেশীয় পাট বীজ উৎপাদনে অনন্য সাফল্য অর্জন করেছেন। দেশে যেখানে পাট বীজের চাহিদা মেটানোর জন্য কৃষকরা ভারতীয় বীজের উপর নির্ভরশীল, সেখানে মুক্তার মোল্যা নিজের উৎপাদিত বীজ দিয়ে গত চার বছর ধরে পাট আবাদ করে আসছেন।
প্রতিবছর সালথা উপজেলায় প্রায় ১২ থেকে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হলেও স্থানীয় বীজের অভাবে কৃষকরা ভারতীয় জাতের বীজ ব্যবহার করেন। তবে মুক্তার মোল্যা তাঁর উৎপাদিত "সবুজ সোনা-৯" নামের দেশীয় বীজ দিয়ে সফলভাবে পাট চাষ করছেন। তিনি জানান, গত বছর তাঁর ৫০ শতাংশ জমিতে পাটের বীজ উৎপাদনে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল এবং এই জমি থেকে তিনি প্রায় ২০০ কেজি বীজ সংগ্রহ করেন। এরপর নিজের ১৪ বিঘা জমিতে সেই বীজ ব্যবহার করে সফলভাবে পাট আবাদ করেন এবং বাকী বীজ বিক্রি করে উল্লেখযোগ্য আয় করেন।
মুক্তার মোল্যার মতে, দেশীয় বীজ ব্যবহারে খরচ কমে এবং ফলনও ভারতীয় বীজের চেয়ে ভালো হয়। তাঁর মতে, ১ কেজি দেশীয় বীজ দিয়ে এক বিঘা জমিতে পাটের আবাদ সম্ভব, যেখানে ভারতীয় বীজে একই পরিমাণ জমির জন্য ২ কেজি প্রয়োজন হয় এবং তাতে বীজের নষ্টের সম্ভাবনাও থাকে।
সালথা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুদর্শন সিকদার জানান, মুক্তার মোল্যার উৎপাদিত দেশীয় পাট বীজ এলাকায় জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং কৃষকরা এতে খরচ সাশ্রয় ও ভালো ফলনের সুযোগ পাচ্ছেন।
তিনি বলেন, মুক্তার মোল্যার মতো অন্য কৃষকরা যদি পাটের বীজ উৎপাদনে এগিয়ে আসেন, তাহলে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
মতামত