বরাদ্দকৃত শ্রেণীকক্ষ বুঝে পাওয়ার দাবিতে আমরণ অনশনে থাকা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) চারুকলা বিভাগের দুই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সোমবার রাত ৯টার দিকে তারা অসুস্থ হলে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়া হয়।
এদিকে, ফোন কলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ আগামীকাল মঙ্গলবার আলোচনার মাধ্যমে তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিলেও শিক্ষার্থীরা তাতে রাজি হননি। উপাচার্যের এ আশ্বাসকে অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে নির্দিষ্ট সমাধান না দেওয়া পর্যন্ত তারা অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। রাত সাড়ে ১০টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অনশন চলমান রেখেছে চারুকলার শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, শিক্ষার্থীরা বেলা ১১টা থেকে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরে দাবি পূরণ না হওয়ায় বিকাল ৩টা থেকে আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা, প্রক্টর ও বিভাগের শিক্ষকরা তাদের দাবির বিষয়ে সমাধানের আশ্বাসে অনশন ভাঙার অনুরোধ জানালেও শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, এর আগেও অনেক আলোচনা হয়েছে। আমরা আর আলোচনা-আলোচনা খেলা চাই না। পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হলে আমরা এখান থেকে উঠবো না। আমাদের রুম আমাদের বুঝিয়ে দিতে হবে। অবৈধ দখলকারীদের সেখান থেকে উচ্ছেদ করতে হবে। নতুবা আমাদের অনশন চলবে।
প্রসঙ্গত, গত ৮ অক্টোবর চারুকলা বিভাগকে রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের চতুর্থ তলায় ২৩টি ও পঞ্চম তলায় ১টি কক্ষসহ মোট ২৫টি কক্ষ বরাদ্দ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একইসঙ্গে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগকে পঞ্চম তলায় ১৫টি ও ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগকে একই তলায় ১৭টি কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে ফোকলোর স্টাডিজ ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ তাদের জন্য বরাদ্দকৃত কক্ষে না গিয়ে, পূর্ব থেকে চারুকলা বিভাগের বরাদ্দকৃত কক্ষগুলো ব্যবহার অব্যাহত রাখে। পরবর্তীতে বিজ্ঞপ্তি জারি করলেও দখলকৃত কক্ষগুলো ছাড়তে দুই বিভাগ নারাজ।
মতামত