এনটিআরসিএ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার পাঠানবাড়ি এলাকার মাহবুবুল করীমের সনদসহ যাবতীয় ডকুমেন্ট নিয়ে প্রতারণা করে ওবায়দুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। সে মাহবুবুল করীমের ডকুমেন্টে নিজের ছবি ও ঠিকানা পরিবর্তন করে প্রতারণার মাধ্যমে চাকুরি নেন।
গত ১৬ অক্টোবর, জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার মহিষবাথান আর এম উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (ধর্ম) পদে যোগদান করার পর ৭ মাস চাকুরি করার পর বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার প্রতারণার বিষয়টি জানতে পারে। এরপর বিদ্যালয় থেকে তাকে চাকুরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
মাহবুবুল করীম জানান, প্রতারক ওবায়দুল ইসলাম নিজেকে এনটিআরসিএ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে চান এবং চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে নিবন্ধন সনদসহ যাবতীয় একাডেমিক সনদ নিয়ে যান। পরে, তিনি সেই কাগজপত্রে ছবি ও ঠিকানা পরিবর্তন করে চাকুরিতে যোগদান করেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মাহবুবুল করীম মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। জানা গেছে, প্রতারক ওবায়দুল ইসলাম চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মাসাৎ ও জাল সনদ তৈরি করে ব্ল্যাকমেইল করতেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই।
ওবায়দুল ইসলামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার কয়ড়া পশ্চিম পাড়া এলাকায় হলেও তিনি মধুপুর উপজেলার মাষ্টারপাড়া এলাকায় থাকতেন।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহীনুর আলম বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ওবায়দুল ইসলাম নিজেকে এনটিআরসিএ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করেছেন। বিষয়টি জানার পর ভুক্তভোগী আদালতে মামলা করেন এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
প্রতারক ওবায়দুল ইসলামকে জামালপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগীরা তার শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
মতামত