সারাদেশ

বঙ্গোপসাগরে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ ধরার জন্য প্রস্তুত জেলেরা

বঙ্গোপসাগরে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ ধরার জন্য প্রস্তুত জেলেরা

ছবি : মুন টাইমস নিউজ


প্রকাশিত : ২ নভেম্বর ২০২৪, বিকাল ৫:৩১

বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবনে মা ইলিশ এবং অন্যান্য প্রজাতির মাছের প্রজননের জন্য ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা ৩ নভেম্বর রাত ১২টার পর থেকে শেষ হচ্ছে। এর ফলে উপকূলীয় অঞ্চল বাগেরহাটের শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ, পিরোজপুর জেলার পারের হাট, তুষখালি এবং বরগুনা জেলার চরদোয়ানী, পাথরঘাটা সহ বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার জেলে শত শত ফিসিং ট্রলার নিয়ে নদী ও সাগরে মাছ ধরার জন্য প্রস্তুত হয়ে রয়েছে। ১৩ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া মা ইলিশের নির্বিগ্নে প্রজননের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা উঠছে রবিবার (৩ নভেম্বর)। সোমবার থেকে দেশের সকল নদ-নদী ও সাগরে আবার শুরু হবে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণের মহোৎসব। তবে, এ বছর ৬৫ দিন ও ২২ দিনের অবরোধ এবং ঘূর্ণিঝড় রেমাল ও ডানার কারণে জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে সুবিধা করতে পারেননি, যার ফলে লক্ষ লক্ষ টাকা লোকসানের মুখে পড়েছেন তারা। এ কারণে হতাশাও দেখা দিয়েছে তাদের মধ্যে। ২ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকালে শরণখোলা উপজেলার রাজৈর মৎস্য আড়তে ট্রলার ঘাটে অসংখ্য ট্রলারে জেলেদের জাল, তেলের ড্রাম, বরফসহ বিভিন্ন মালামাল সংগ্রহ করতে দেখা যায়। অনেকেই মহাজনের কাছ থেকে অগ্রিম দাদন নিয়ে পারিবারিক বাজারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। শরণখোলা উপজেলার মৎস্য আড়ৎদার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মজিবর তালুকদার জানান, এ বছর ইলিশ আহরণ মৌসুমে ঘূর্ণিঝড় ও নিম্নচাপ বেশি থাকায় জেলেরা মাছ ধরতে না পারায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তবে আশা করছেন, ২২ দিনের অবরোধের পর আবারও জেলেরা সাগরে গিয়ে ইলিশ আহরণ করতে পারলে কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন। এ ব্যাপারে শরণখোলা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, অবরোধ চলাকালীন সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুদীপ্ত কুমার সিংহের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, নৌপুলিশ, আনসার ও উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যদের নিয়ে নদী ও সাগরে টহল জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া অবরোধকালীন সময়ে জেলেদের সরকারি চাল সহায়তা দেয়া হয়েছে।