সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের মৃত্যুর পরও সৎকারের সমস্যা দীর্ঘদিনের। গোসাবা ব্লকের বালি ১ পঞ্চায়েতের বিরাজ নগর গ্রামে হিন্দু ও মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি বসবাস। মৃত্যুর পর শ্মশান ও কবরস্থানের অভাবে মৃতদেহ সৎকার করতে সমস্যায় পড়তেন স্থানীয়রা। অনেক সময় নদীর তীরে মৃতদেহ পুঁতে রাখার বা নদীর জলে ফেলে দেওয়ার মতো সমাধান করতে হতো। এতে দূষণ যেমন বাড়ছিল, তেমনই বাড়ছিল মানসিক যন্ত্রণাও।
এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এসেছেন সমাজসেবী যুবক প্রসেনজিৎ মন্ডল। সম্প্রতি হিন্দুদের জন্য শ্মশান ও একটি কালি মন্দির গড়ে তোলার পর এবার মুসলিমদের জন্য কবরস্থান তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। বিদ্যাধরী নদীর তীরে তিনি কবরস্থান নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। এছাড়া, কবরস্থানে যাওয়ার জন্য রাস্তা তৈরিরও ব্যবস্থা করছেন প্রসেনজিৎ।
প্রসেনজিতের এ উদ্যোগ এলাকার মানুষের কাছে অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, রামকৃষ্ণ দেবের বাণী ‘যত মত, তত পথ’ এবং নজরুল ইসলামের ‘একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু-মুসলমান’ বাণীকে ধারণ করে সুন্দরবনের মানুষের জন্য আমি আরও সমাজসেবামূলক কাজ করে যেতে চাই।
মতামত