ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ছোট্ট গ্রাম সোনাডাঙ্গী। এখানে প্রায় ৫০টি পরিবার বসবাস করে, কিন্তু গ্রামের মধ্যে প্রবেশের জন্য কোনো রাস্তা নেই। ফলে, প্রতিদিন ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির আইল ব্যবহার করে হাটবাজার ও উপজেলা শহরে যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
বর্ষাকালে গ্রামটির চারপাশ পানি দিয়ে ভরে যায়, তখন নৌকা ছাড়া অন্য কোনো উপায় থাকে না। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছে স্কুল-মাদরাসার শিশু শিক্ষার্থীরা, যাদের প্রতিদিন কাঁদামাটি পার হয়ে যেতে হয়। এই কষ্টের কারণে অনেক পরিবার তাদের প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের অন্য কোনো পরিবারে বিয়ে দিতেও সমস্যায় পড়ছে।
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের অন্তর্গত এই গ্রামটির বাসিন্দারা জানান, গ্রামের প্রবেশের জন্য মাত্র ১০০ মিটার রাস্তা নির্মাণ হলে তাদের দুর্ভোগ কমে আসবে। কিন্তু সরকারি জমি না থাকায় এবং জমির মালিকদের অনিচ্ছার কারণে এখনো রাস্তাটি নির্মিত হয়নি।
সোনাডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা ইমামুল হক ও সেলিমা বেগম বলেন, আমাদের গ্রামের ৫০টি পরিবারের সদস্য সংখ্যা দুই শতাধিক। শতভাগ বিদ্যুৎ সুবিধা থাকলেও, রাস্তাঘাটের অভাবে প্রতিদিন কষ্ট করে কাদামাটি পার হতে হয়। বিশেষ করে কেউ অসুস্থ হলে বা গর্ভবতী নারীর চিকিৎসার প্রয়োজন হলে তা আরও কষ্টকর হয়ে পড়ে। যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না থাকায় আমাদের ছেলে-মেয়েদের বিয়ের ক্ষেত্রেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
বল্লভদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুর রহমান শাহিন জানান, সোনাডাঙ্গী গ্রামের মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কয়েকবার রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলাম, তবে সরকারি হালট না থাকায় এবং জমির মালিকদের অসহযোগিতার কারণে তা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি ইউএনও স্যারকেও জানানো হয়েছে।
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান জানান, সোনাডাঙ্গী গ্রামে প্রবেশের জন্য কোনো সরকারি হালট নেই। তবে স্থানীয়রা যদি রাস্তার জন্য জমি দান করতে আগ্রহী হন, তাহলে আমরা রাস্তা নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
মতামত