নাটোরের লালপুরে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তির আশায় ‘কলা চিকিৎসা’ নামে কুসংস্কার ছড়িয়ে আসছিলেন কিছু ভণ্ড কবিরাজ। অমাবস্যার রাতে ও দিনে প্রতিটি কলা চার টুকরো করে প্রতিটি টুকরার জন্য ৫০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছিল, ফলে প্রতিটি কলার দাম দাঁড়ায় ২০০ টাকা।
গোপনে চলতে থাকা এই চিকিৎসা সম্পর্কে খবর পেয়ে লালপুর উপজেলা প্রশাসন বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় অভিযান চালায় এবং চিকিৎসাটি বন্ধ করে দেয়।
জানা গেছে, কথিত কবিরাজ মিজানুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের প্রতারণামূলক কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। এবছর তিনি কলসনগর গ্রামে আবুল কালামের বাড়িতে গোপনে এই কলা চিকিৎসা শুরু করেন। খবর পেয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান পুলিশ ও সেনাবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে কবিরাজ ও তার সহকারী পালিয়ে যান।
স্থানীয়দের মতে, কবিরাজ মিজানুর রহমান পারুল বেগম নামে এক মহিলার কাছ থেকে এই চিকিৎসা শিখেছেন। এই চিকিৎসার বিশ্বাস থেকে অনেক রোগী বিভিন্ন জেলা থেকে এসে ভিড় জমাচ্ছিলেন। তবে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এই প্রতারণামূলক চিকিৎসা বন্ধ করা হয়েছে। লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সুরুজ্জামান শামীম এ ধরনের চিকিৎসাকে ভিত্তিহীন ও কুসংস্কার বলে অভিহিত করেন।
লালপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ভণ্ড কবিরাজদের এ ধরনের প্রতারণামূলক কার্যক্রম চালাতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মতামত