পিরোজপুর গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নেতা ও ইন্দুরকানী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাসুদ সাঈদী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লক্ষ্য করে বলছেন দিল্লির গোলাম দিল্লিতে চলে গেছে।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) পিরোজপুর টাউন ক্লাব মাঠে জেলা জামায়াতের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে তিনি অভিযোগ করেন, গত ১৭ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সমাজকে ধ্বংস করা হয়েছে।
মাসুদ সাঈদী বলেন, আমরা ১৭ বছর ধরে অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এই সময়ের মধ্যে জামায়াতে ইসলামী এবং এর নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম ও নির্যাতন হয়েছে। খুনি হাসিনার শাসনামলে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি ২০০৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার রাজপথে সাধারণ মানুষের হত্যার ঘটনার স্মৃতি চারণ করে বলেন, তারা শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, মৃত্যুর লাশের ওপর নাচছিল।
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ইতিহাসের পাতা জুড়ে হত্যার মাধ্যমে নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করেছে। তিনি বলেন আওয়ামী লীগের ইতিহাস একটি হত্যার ইতিহাস।
এ সময় তিনি পিরোজপুরের কৃতি সন্তান কেন্দ্রীয় ছাত্র শিবিরের নেতা আল মোকাদ্দাসের গুমের কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ১২ বছর ধরে আমরা তার খোঁজ পাইনি। আমরা তার নিরাপদ প্রত্যাবর্তন চাই।
মাসুদ সাঈদী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সমালোচনা করে বলেন, ১৯৮১ সালে তিনি দিল্লি থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের এক মিশন নিয়ে এসেছিলেন। তার সেই সব ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করে, আজ তিনি আবার দিল্লিতে চলে গেছেন। আওয়ামী লীগ মানেই ভারতের গোলাম।
সমাবেশে বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত। মাসুদ সাঈদী বলেন, ক্ষমতা দখল করতে গিয়ে তারা ২৫ ফেব্রুয়ারি ৫৭ জন সেনা অফিসারকে গুলি করে হত্যা করেছে।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদস্য কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা ও বরিশাল অঞ্চল টিম সদস্য এ কে এম ফখরুদ্দিন খান রাযী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ তাফজ্জল হোসাইন ফরিদ, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুর রব এবং জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি মেহেদী হাসান। বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনার শাসনকাল জনগণের জন্য দুর্ভোগের সময়। আমরা গণতন্ত্র রক্ষার জন্য লড়াই চালিয়ে যাব।
এই সমাবেশে জেলা জামায়াতের নেতারা উপস্থিত ছিলেন এবং সবাই মিলিত হয়ে গণতন্ত্র রক্ষার সংকল্প ব্যক্ত করেন। বক্তারা জানান, আগামীতে তারা আরও কঠোর আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মতামত