সারাদেশ

ইবিতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি অভিযোগে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

ইবিতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি অভিযোগে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

ছবি : মুন টাইমস নিউজ


প্রকাশিত : ২৩ অক্টোবর ২০২৪, রাত ১২:০৩

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে হেনস্তা ও যৌন হয়রানিসহ একাধিক অভিযোগ এনে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন। মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষকের কুশপুতুল নিয়ে মিছিল শেষে তাতে থুতু ও জুতা নিক্ষেপ করে এবং আগুনে পুড়িয়ে দেয়। গত ৭ অক্টোবর হাফিজুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিভাগের প্রধান ফটক অবরোধ করেন। পরে উপাচার্যের কাছে তারা লিখিতভাবে ২৭ দফা অভিযোগ জমা দেন এবং মৌখিকভাবে ঘটনার বর্ণনা করেন। অভিযোগের তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়, যা ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে। তদন্ত কমিটির কাছে সাক্ষাৎকার দিতে হাফিজুল ইসলামের ক্যাম্পাসে আসার কথা থাকলেও নিরাপত্তার শঙ্কার কারণে তিনি আসেননি। ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী বেলা সাড়ে ১১টায় রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের সামনে কুশপুতল নিয়ে মিছিল শুরু করেন। তারা প্রধান ফটকের সাথে কুশপুতল ঝুলিয়ে তাতে থুতু ও জুতা নিক্ষেপ করেন এবং দুপুর ২টার দিকে আগুন ধরিয়ে দেন। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘বহিষ্কার বহিষ্কার, হাফিজ বহিষ্কার’, ‘হাফিজ হটাও, ডিএস বাঁচাও’, ‘হাফিজের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হাফিজুল ইসলাম শ্রেণিকক্ষে ছাত্রীদের অবমাননা, নষ্টা ও পতিতা হিসেবে অভিহিত করে এবং পোশাক নিয়ে বাজে মন্তব্য করতেন। তিনি ছাত্রদের জোরপূর্বক সমকামিতায় বাধ্য করার, কথা না শুনলে মার্ক কম দেওয়ার, মেয়েদের ব্যক্তিগত নম্বরে বিরক্ত করার এবং ফেইক আইডি দিয়ে কুরুচিপূর্ণ কথোপকথন করার অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা তাকে বিভাগ থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছি এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও তাকে বরখাস্ত করার দাবি জানাচ্ছি। আমাদের প্রতিবাদ চলবে যতদিন না তার অপকর্মের প্রমাণিত হয়। অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তফা আরীফ জানান, তারা ইতোমধ্যে কিছু শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এবং পরবর্তীতে অভিযুক্ত শিক্ষকের সাক্ষাৎকার নেওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করবেন।