সারাদেশ

অর্থাভাবে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পাওয়া স্মৃতির উচ্চশিক্ষা অনিশ্চিত

অর্থাভাবে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পাওয়া স্মৃতির উচ্চশিক্ষা অনিশ্চিত

ছবি : মুন টাইমস নিউজ


প্রকাশিত : ১৮ অক্টোবর ২০২৪, সন্ধ্যা ৮:১৬

ভূমিহীন পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থী স্মৃতি বালা গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েও উচ্চশিক্ষার স্বপ্নে বাধা পাচ্ছেন অর্থাভাবে। সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা স্মৃতি ছোটবেলা থেকেই সংগ্রাম করে আসছেন। বাবা বিশ্বদেব সরকার তৃতীয় শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় মারা যাওয়ার পর থেকে তার মা শেফালী রানী সরকার ছোট একটি দর্জির দোকান চালিয়ে সংসার চালাচ্ছেন। স্মৃতি বালা ২০১৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়ে জেএসসি এবং এসএসসিতে ধারাবাহিকভাবে ভালো ফলাফল করেন। সর্বশেষ বগুড়া সরকারি মজিবুর রহমান মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে গোল্ডেন জিপিএ ৫ অর্জন করেন। তবে আর্থিক সংকটের কারণে স্মৃতির উচ্চশিক্ষা এখন অনিশ্চিত। মেধাবী এই শিক্ষার্থী জানান, কলেজের খরচ চালানোর জন্য তাকে মাসিক ন্যূনতম ১,৫০০ টাকা প্রয়োজন ছিল, যা সামলাতে তার মায়ের দর্জির দোকান যথেষ্ট ছিল না। কলেজের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক মো. শাহিন শাহ্ তাকে বিনা খরচে প্রাইভেট পড়িয়েছেন এবং কলেজ কর্তৃপক্ষও সিটভাড়া মওকুফ করেছে। তবুও অর্থনৈতিক দুরাবস্থার কারণে স্মৃতির সামনে উচ্চশিক্ষা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। স্মৃতি বালার মা শেফালী রানী সরকার অসুস্থ থাকায় তার আয়ের পরিমাণও কমে গেছে। দর্জির দোকান থেকে পাওয়া আয় ও গরু পালনের উপার্জনেও তারা চলতে পারছেন না। স্মৃতির ছোট ভাই শ্রাবণ চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ছে, যার লেখাপড়ার খরচও মেটানো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্মৃতির মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, স্মৃতির পড়া-লেখার খরচ চালাতে গরু বিক্রি করেছি, কিন্তু এখন আর কোনো উপায় নেই। সমাজের কোনো সহৃদয় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি সাহায্য করতেন, তবে মেয়ের স্বপ্ন পূরণে আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকতাম। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুইচিং মং মারমা জানিয়েছেন, মেধাবী স্মৃতি বালার ভর্তির সময় উপজেলা প্রশাসনের তহবিল থেকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।