সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের পলাশী গ্রামের মতিন-সাবিনা দম্পতি ছয় বছর ধরে একটি জরাজীর্ণ ঘরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। শীতকাল হোক বা বর্ষার ঝড়-বৃষ্টি, এই পরিবারকে সবই সয়ে যেতে হয় নীরবে। টাকার অভাবে ঘরটি মেরামত করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি, তাই দম্পতির আকুতি—মানবেতর এই জীবন থেকে মুক্তি চান তারা।
এই দম্পতি ১৫ বছর ধরে এনজিও কারিতাস বাংলাদেশের দেওয়া টিনের ছোট দোচালা ঘরে বসবাস করছেন। কিন্তু ঘরের বাঁশের বেড়া ছয় বছর আগেই উইপোকায় খেয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এখন ভাঙা বেড়া দিয়ে ঠাণ্ডা বাতাস ঢুকে এবং বৃষ্টির পানি ঘরের ভেতরে পড়ে, যা তাদের জীবনকে করে তুলেছে আরও দুর্বিষহ। শিশু সন্তানসহ পরিবারের সবাইকে এক জায়গায় জড়ো হয়ে পলিথিন দিয়ে বৃষ্টির পানি থেকে রক্ষা পেতে হয়।
মতিন, যিনি একজন দিনমজুর, জানান যে প্রতিদিন কাজ না পাওয়ায় পরিবারের ভরণপোষণ করতে কষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া, গ্রামীণ ব্যাংক এবং আশা সমিতি থেকে নেওয়া ৮০ হাজার টাকার ঋণ শোধ করাও তাঁর জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। তার আয়ের এই সীমিত পরিমাণে ঘর মেরামত করা সম্ভব নয় বলে তিনি মানবিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।
বারুহাস ইউনিয়নের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য মোছা. রিনা খাতুন জানিয়েছেন, তিনি পরিবারটির জন্য মাসে ৩০ কেজি চালের ভাতা কার্ডের ব্যবস্থা করেছেন।
এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুইচিং মং মারমা বলেছেন, দরিদ্র পরিবারটির জন্য সহায়তার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হবে।
মতামত