আসন্ন শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ৮৫টি পূজামন্ডপের জন্য সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত সাড়ে ৪২ মেট্রিক টন চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় পূজা উদযাপন কমিটির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়েছে, যেখানে সংশ্লিষ্ট কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতি কেজি চাল ৩৮ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এভাবে প্রায় ৪ লাখ টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন পূজামন্ডপগুলো।
সরকারি চালের বাজার মূল্য ৪৮ থেকে ৫৩ টাকা হলেও কম দামে চাল বিক্রি করে পূজা উদযাপন কমিটি পুরো টাকার অংশ কম দিয়েছে বলে দাবি করছে সচেতন মহল।
এ বিষয়ে পূজামন্ডপের নেতারা অভিযোগ করেন, বরাদ্দকৃত চাল সংগ্রহের আগে প্রতিটি মন্ডপ থেকে স্বেচ্ছাসেবক কার্ডের নামে এবং পিআইও অফিস খরচের নামে অতিরিক্ত টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সালাউদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, "আমার অফিসের কেউ যদি অনিয়মে জড়িত থাকে, যথাযথ প্রমাণ মিললে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
এদিকে, উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ শিহাব উদ্দীন জানান, পূজামন্ডপের সভাপতি ও সম্পাদকরা তাদের বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলন করেছেন, কিন্তু চাল বিক্রির বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি দুলু রায় বলেন, "স্বেচ্ছাসেবক কার্ড এবং অন্যান্য খরচ বাবদ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে, যা পূজার খরচের অংশ।"
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, চাল বিক্রির বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মতামত