সারাদেশ

সিংড়ায় নারিকেল দাম বেশি হলেও দুর্গাপূজাকে ঘিরে বেড়েছে বিক্রয়

সিংড়ায় নারিকেল দাম বেশি হলেও দুর্গাপূজাকে ঘিরে বেড়েছে বিক্রয়

ছবি : মুন টাইমস নিউজ


প্রকাশিত : ৮ অক্টোবর ২০২৪, সন্ধ্যা ৮:২৭

সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজাকে ঘিরে নাটোরের সিংড়ায় নারিকেল বিক্রির ধুম চলছে, যদিও এর দাম অনেক বেশি। পূজা উৎসবে অতিথি আপ্যায়নের খাদ্য তালিকায় নারিকেলের নাড়ু অন্যতম মুখরোচক খাবার। এছাড়া নারিকেল দিয়ে পায়েশসহ নানা স্বাদের খাবার প্রস্তুত করা হয়। তাই পূজা উৎসবে নারিকেলের গুরুত্ব অপরিসীম। পূজার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, নারিকেলের চাহিদা ও কদর বাড়ছে। ক্রেতারা দোকানে ছুটছেন এবং দরদাম করে নারিকেল কিনছেন। নারিকেলের পাশাপাশি গুড়ের দোকানেও বেড়েছে কেনাবেচা। সরেজমিনে সিংড়া বাজারে গিয়ে দেখা যায়, নানা সাইজের নারিকেলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ১৫ থেকে ২০টি দোকান। দোকানে সাধারণ ক্রেতাদের ভীড় ছিল উল্লেখযোগ্য। পুরুষ ক্রেতাদের পাশাপাশি নারীরাও ক্রয় করতে এসেছেন। এসব দোকানে ছোট আকারের নারিকেল প্রতি জোড়া ১৬০ টাকা, মাঝারি সাইজের প্রতি জোড়া ২০০ টাকা এবং বড় সাইজের নারিকেল প্রতি জোড়া ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার ছোট বাঁশবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুকমল সরকার বলেন, “নারিকেল ছাড়া পূজার কথা ভাবাই যায় না। আমি তিন জোড়া নারিকেল কিনলাম। গতবারের চেয়ে দাম অনেক বেশি। গত বছর ১ জোড়ার দাম ছিল ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, আর এ বছর তা ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। বছরের ব্যবধানে প্রতি জোড়া নারিকেলের দাম বেড়েছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা।” নারিকেল ব্যবসায়ী শাহিন আলম ও জামাল উদ্দিন জানান, “সারা বছর কমবেশি বেচাকেনা হলেও পূজা উপলক্ষে বিক্রি সবচেয়ে বেশি হয়। আমরা আশা করছি আশানুরূপ বিক্রয় করতে পারবো।” তারা আরও জানান, “ডাবের দাম বেড়ে যাওয়ায় মোকাম থেকে বাড়তি দামে নারিকেল কিনতে হয়েছে। দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের চাহিদা কিছুটা কমেছে। পূজা মৌসুমে যারা ১০ জোড়া নারিকেল কিনতেন, এখন তারা কিনছেন ৫ জোড়া।” উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তাপস সরকার জানান, “এ বছর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মোট ৮১টি পূজামণ্ডপে দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। সনাতন ধর্মালম্বীদের পূজা পার্বনে মিষ্টি ও মিষ্টান্ন খাবার বেশি তৈরি হয়। সেই কারণে নারিকেল ও গুড় পূজার অন্যতম উপকরণ। এছাড়া অতিথি আপ্যায়নেও নারিকেলের তৈরি নাড়ুর কদর অনেক বেশি।”