দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে মো. বেলাল উদ্দিন নামের এক সাংবাদিক বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। তিনি দৈনিক সময়ের আলো ও একুশে পত্রিকার বাঁশখালী প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।
মামলায় মোস্তাফিজ ছাড়াও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ গালীব সাদলী, চাম্বল ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী, সাবেক মেয়র তোফায়েল বিন হোছাইন, শীলকূপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কায়েস সরওয়ার সুমন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম, সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোছাইন এবং ছনুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. হারুনুর রশীদসহ ৬৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় ১০০/১৫০ জন অজ্ঞাতনামা আসামিও উল্লেখ করা হয়েছে। এ নিয়ে সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মোট ৬টি মামলা দায়ের হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর নির্দেশে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নিরীহ ছাত্রদের ওপর গুলি চালায়। ওইদিন সাংবাদিক বেলাল উদ্দিনসহ শতশত ছাত্র জনতা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে শেখেরখীল রাস্তার মাথায় অবস্থান নিয়েছিলেন।
মামলায় আরও বলা হয়, আসামীরা হাতে বাঁশ, কাঠের লাঠি, ইট, পাথর, লোহার রড ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নিরস্ত্র ছাত্র জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করে। এতে অনেক ছাত্র গুরুতর আহত হন এবং কিছু ছাত্রের চোখ-মুখ ও শরীরে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করেন।
বাদী সাংবাদিক বেলাল উদ্দিন বলেন, “আমি আইনগতভাবে এই মামলা দায়ের করেছি কারণ শাকের উল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করেছে এবং তার আইনি সহায়তা নেই।”
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী শাকের উল্লাহর পক্ষ থেকে মামলাটি দায়ের হয়েছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ আগস্ট বাঁশখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হামিদের আদালতে বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান চৌধুরী ও সরল ইউনিয়ন বিএনপি নেতা জাফর আহমদ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন। এর আগে সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও অন্যান্য নেতাদের বিরুদ্ধে ৪ জুলাই আরও দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
মতামত