স্বামীর মৃত্যুর পর জোবেদা খাতুনের সব সম্পত্তি ছেলেরা জোর করে লিখে নিলেও, তাঁকে দেখার কেউ নেই। ৮০ বছর বয়সী এই বৃদ্ধা এখন মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে ও শারীরিক প্রতিবন্ধী নাতনিকে নিয়ে কঠিন মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার দেশিগ্রাম ইউনিয়নের ভোগোলমান গ্রামের এই বৃদ্ধা মানুষের দান-সাহায্যের ওপর নির্ভর করেই কোনোরকমে বেঁচে আছেন।
জানা যায়, জোবেদা খাতুনের স্বামী ওয়াহেদ আলী ছিলেন একজন সম্পদশালী ব্যক্তি। ২০০১ সালে তাঁর মৃত্যু হলে, ছেলেরা সব সম্পত্তি নিজেদের নামে লিখে নিয়ে মায়ের খোঁজ রাখা বন্ধ করে দেয়। এরপর মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফিরে আসলে জোবেদার সংগ্রাম নতুন মাত্রা পায়। বিভিন্ন জায়গায় মেয়ের চিকিৎসা করিয়েও ফল না পেয়ে তাকে ঘরে শিকলবন্দি করে রাখতে বাধ্য হন। আরেক মেয়ের প্রতিবন্ধী সন্তানকেও তাঁর কাছেই রেখে যায়। এই তিনজন নিয়ে জোবেদার জীবন এখন দুঃখ-কষ্টে ভরা।
জোবেদা খাতুন জানান, তাঁর জীবিকা চলছে সরকারের প্রতিবন্ধী ভাতার টাকায়, যা মাসের মাত্র ২০-২২ দিন চলতে পারে। বাকি দিনগুলোতে তিনি গ্রামবাসীর সাহায্যের ওপর নির্ভর করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা এ বিষয়ে বলেন, তিনি চেষ্টা করবেন যেন জোবেদা খাতুন দ্রুত আর্থিক সহায়তা পান।
মতামত